ফুটপাত দখলে ‘ভাইরাল মিজান ভাতের হোটেল…শেওড়াপাড়ায় জনদুর্ভোগ, সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার:
মিরপুর শেওড়াপাড়া তালতলা ৩৩৬ নম্বর পিলারের সামনে প্রকাশ্য ফুটপাত দখল করে চলছে অনিয়ন্ত্রিত খাবার ব্যবসা নেই স্বাস্থ্যবিধি, নেই প্রশাসনিক নজরদারি রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া তালতলা এলাকায় ৩৩৬ নম্বর পিলারের সামনে ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তথাকথিত ‘ভাইরাল মিজান ভাতের হোটেল’। জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র ফুটপাত দখল করে এই অবৈধ খাবার দোকান গড়ে ওঠায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের ওপর টিন, ত্রিপল ও অস্থায়ী চুলা বসিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না ও খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। খোলা জায়গায় খাবার রাখা, অপরিষ্কার থালা-বাসন, ময়লা জমে থাকা—সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি চরমে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গন্ধ ও ভিড়ের কারণে আশপাশের পরিবেশ একেবারেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পথচারীদের ভোগান্তি চরমে
ফুটপাত দখলের ফলে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের রাস্তায় নেমে হাঁটতে বাধ্য হতে হচ্ছে, যা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে অফিস সময়ে ও সন্ধ্যায় এই এলাকায় যানজট ও বিশৃঙ্খলা নিত্যদিনের চিত্র।
সাংবাদিক হেনস্তার গুরুতর অভিযোগ
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—ঘটনার সত্যতা জানতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ‘ভাইরাল মিজান’ ইউটিউবারদের সামনে রেখে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ
এতদিন ধরে প্রকাশ্যে ফুটপাত দখল, স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হলেও সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, থানা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসনের এই নীরবতার পেছনে কি কোনো অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে?
দাবি স্থানীয়দের এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিকরা অবিলম্বে ফুটপাত উদ্ধার, অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য, অবৈধ ব্যবসার জন্য নয়। ‘ভাইরাল’ হওয়ার দোহাই দিয়ে আইন অমান্য ও সাংবাদিক হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখনই প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ না এলে জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও আইনের শাসন সবই প্রশ্নের মুখে পড়বে।